অনলাইন ডেস্ক:
সাভারে বিজিবি’র এক মেজরের বিরুদ্ধে এক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। রাজিবুল ইসলাম নামের ওই ম্যাজিস্ট্রেটকে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পোশাক খাতের শ্রমিক অসন্তোষ দমনে সাভার ও আশুলিয়া এলাকায় বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। একই দায়িত্ব পালনে বিজিবির সঙ্গে ছিলেন একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটও। কিন্তু আজ রোববার সকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে বিজিবির মেজর মারধর করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
সাভার উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শেখ রাসেল হাসান বলেন, ‘সাভারে পোশাক কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষের ঘটনায় সাভার ও আশুলিয়া এলাকায় বিজিবি মোতায়েন করা হয়। বিজিবি’র সঙ্গে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটও দায়িত্ব পালন করছিলেন। সকালে উলাইল এলাকায় দায়িত্ব পালনের সময় তাদের মধ্যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অবগত রয়েছে। এ বিষয়ে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটও অবগত রয়েছেন।’
জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাজিবুল ইসলামের করা অভিযোগে বলা হয়, রবিবার সকালে সাভারের উলাইল এলাকায় বিজিবির একটি দলের সঙ্গে তিনি দায়িত্ব পালন করতে যান। সেখানে থাকা বিজিবির দলের দায়িত্বে মেজর রহমত তাকে আল-মুসলিম পোশাক কারখানার ভেতরে একটি কক্ষে নিয়ে যান। পরে বিজিবির মেজর তার দলের দুই সদস্যকে ডেকে শ্রমিক অসন্তোষের অবস্থার অবনতি হলে সরাসরি গুলি করার পর ম্যাজিস্ট্রেটকে জানানোর কথা বলেন। এসময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এই বিষয়ের প্রতিবাদ করেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হলে বিজিবির মেজর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে কিল-ঘুষি মেরে আহত করেন। পরে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা গিয়ে তাকে উদ্ধার করেন।
সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আমজাদুল হক বলেন, ‘রাজিবুল ইসলাম নামের এক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাদের হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিজিবি’র গণসংযোগ কর্মকর্তা মোহসিন রেজা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই।’
এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এ ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের প্রতিবেদন পেলে বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে।